ব্রহ্মপুত্র ধরলা দুধকুমার ও তিস্তায় পানি বৃদ্ধি অব্যাহত
প্রকাশিত : ১১:৩৯, ৩ জুলাই ২০২৪ | আপডেট: ১২:২২, ৩ জুলাই ২০২৪
টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে কুড়িগ্রামের ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, দুধকুমার ও তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। বন্যার পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে নদ-নদী তীরবর্তী চর-দ্বীপ ও নিম্নাঞ্চল। তলিয়ে গেছে কিছু ঘরবাড়ী ও সবজির ক্ষেত।
বুধবার (৩ জুলাই) সকাল ৬টায় স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, ব্রহ্মপুত্র নদের নুন খাওয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ২৬.১৭ সেন্টিমিটার ও ধরলা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে তালুক শিমুলবাড়ী পয়েন্টে বিপদসীমার ৩০.৭২ উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া অনান্য নদনদীর পানি ক্রমেই বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার কাছাকাছি অবস্থান করছে।
এদিকে, নদনদীর তীরবর্তী রাজারহাট, উলিপুর, চিলমারী, রৌমারী ও রাজিরপুর উপজেলার ১৫টি পয়েন্ট দেখা দিয়েছে নদী ভাঙন।
উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের কৃষক মোঃ আব্দুর রহমান বলেন, ‘ধরলার পানি বাড়ার কারণে আমার পটল খেত তলিয়ে গেছে। এখন সব পটলের গাছ মরে যাবে। পানি না আসলে আরও অনেক টাকা পটল বিক্রি করে লাভবান হতে পারতাম।’
কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, গত ২৪ ঘন্টায় জেলায় ১৩০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। যা আর দু-একদিন থেমে থেমে অব্যাহত থাকতে পারে।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ রাকিবুল হাসান জানান, পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে আগামী ২৪ ঘন্টায় কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি, পাটেশ্বরী পয়েন্টে দুধকুমার নদের পানি ও তালুকশিমুল বাড়ী পয়েন্ট ধরলার পানি বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে।
অন্যদিকে, অবিরাম বৃষ্টি ও উজান থেকে আসা পাহাড়ি ঢলে রংপুরের কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি আজ বুধবার সকাল ৬টায় বিপদ সীমার ৬৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বৃদ্ধির ফলে নদীর তীরবর্তী ও চরাঞ্চলের অন্তত ১৫টি গ্রামে প্রবল বেগে পানি প্রবেশ করেছে। ইতিমধ্যে চরাঞ্চলের ১১টি গ্রাম তলিয়ে যাওয়ায় প্রায় ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
বন্যার পানিতে শত শত হেক্টর জমিতে থাকা বাদাম ও মরিচের ক্ষেত তলিয়ে গেছে। এলাকাগুলো হলো বালাপাড়া ও টেপামধুপুর ইউনিয়নের হরিচরণ শর্মা, আজমখাঁ, হয়বত খাঁ, বিশ্বনাথের চর, চরগনাই, ঢুষমারা, চর রাজিব, গোপিঙ্গা, গদাই, পাঞ্জরভাঙ্গা, তালুক শাহবাজপুর।
প্রবল বেগে পানি প্রবেশ করায় হাজার হাজার মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বিভিন্ন বাঁধে আশ্রয় নিয়েছে।
এএইচ
আরও পড়ুন